ইসলামের নিয়ম মেনে আপনারা কতটি বিয়ে করতে পারেন।

 

ইসলাম আপনাকে কতটি বিয়ে করার পরামর্শ

 দিচ্ছে।

ইসলাম আপনাকে কতটি বিয়ে করার পরামর্শ  দিচ্ছে।


ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। এখানে আপনার জন্য যে টুকু করা উচিৎ তত টুকুই করতে হবে। এর বাহিরে কোন কিছুই করার সুযোগ নেই। 



গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরের চনদ্রা এলাকা হতে গ্রেপ্তার কৃত কুদ্দুস আলী কে নিয়ে ময়মনসিংহের জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভুঞা  এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান নৌ বাহিনীতে চাকরি করেন দাবি করে একে একে 13 টি  বিয়ে করতে গিয়ে মহিদুল ইসলাম নামের এক প্রতারককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। এবং তার সহযোগী ঘটক কুদ্দুস আলী ময়মনসিংসের তারাকান্দা উপজেলার নগুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ইসলামের নিয়ম মেনে আপনার কতটি বিয়ে করা উচিৎ

ইসলামে বিয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হলো একজন সঙ্গীর সঙ্গে ধর্ম, আদর্শ ও সহিষ্ণুতা ভিত্তিক সম্পর্ক গঠন করা। আর এই বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। তবে, সাধারণভাবে একজন মুসলিম পুরুষের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সময় নারীরা মানলে সাতটি বিয়ে করতে পারবেন। এই বিষয়ে ইসলামের বিভিন্ন মাধ্যমে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট নিয়ম বর্ণিত আছে।
একজন মুসলিম স্ত্রীর ক্ষেত্রে তার বিয়ে সংক্রান্তে এমন কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তবে, প্রতিটি বিয়ের আগে তাকে তার পূর্বের স্বামীর সাথে তালাক প্রাপ্তির কারণ স্পষ্ট করে দেওয়া আবশ্যক।
সংক্ষেপে বলা যায়, ইসলামে বিয়ে করার প্রতিটি উপায়ের পেছনে একটি প্রধান উদ্দেশ্য হলো ধর্মবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থিত এবং সুখী জীবনের প্রতিষ্ঠা করা।
বহু বিবাহ করা কি ঠিক

কথন একাধিক বিয়ে করতে পারেন।

ভুক্তভোগীরা জানান নৌ বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রথমে বিয়ে, পরে বিভিন্ন প্রলোভনে পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই জন্য নানা ধরনের ফাদ ফেলতো । ফাদে পা দেওয়া মাত্র টাকার অফার দিয়ে প্রত্যক পরিবার হতে 5 থেকে শুরু করে 10 লাখ টাকা পযন্ত হাতিয়ে নেন এই প্রতারক মহিদুল।

এখন আপনারা হয়ত বলতে পারেন , আমি কেন এই রকম একটি উদাহরন নিয়ে আসলাম আপনাদের নিকট । আমি আমার  এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের এই টুকু বুজাতে চেয়েছি । আপনারা আগে কোন কিছু সিদ্দান্ত নিতে হলে আপনার ধর্ম আপনাকে কি পরামর্শ দিচ্ছে সে বিষয়ে জেনে নিতে হবে। 




ইসলামে নিবন্ধনের দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ে করা যেতে পারে অনেক সংখ্যক বার। কোরানে বা হাদিসে এমন কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা বর্ণিত নেই। তবে, ইসলামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ন্যায্য ও উচিত পরিমাণের বিয়ে করা। এতে মানুষের সামাজিক, আর্থিক ও মনোভাবিক স্থিতিতে সমৃদ্ধি ও সুখ অনুভব করার লক্ষ্য রেখে বিয়ে করা হতে হবে। এখন বিষয় হলো আমি আমার সুখের জন্য প্রয়োজনের তাগিদে অনেক গুলো বিয়ে করতে যেয়ে পরিবারে সমান ভাবে সবাইকে বিচার করে নায্যতা বজায় রাখতে পারলাম না। সেই ক্ষেত্রে আমার কোন ভাবেই একাধিক বিয়ে করা উচিৎ হবে না। তাছাড়া আপনি প্রথমে যে মেয়ের সহিত সংসার করবেন তারপ্রতিই অধিক ভালোবাসা দিলে আপনি আপনার সব চাহিদা মিটিয়ে নিতে পারবেন।


ইসলাম কোনভাবেই বহু বিবাহ সমর্থন করে না। এতে করে পারিবারিক বা সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই বহুবিবাহ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।

ইসলাম আপনাকে কখনও অন্যায় বা অমানবিক হওয়ার পথ দেখাই না। কাওকে অমানবিক হওয়ার পরামর্শও দেই না। আমাদের মহানবি হযরত মোঃ সাঃ । তিনি তার  জীবন দশায় মানুষের জন্য কল্যান হয় এমন সব কিছুর পথ বাতলায়ে দিয়েছে। মানুষ তার জৈবিক চাহিদা মিটানোর জন্য বিয়ে সাধি করে থাকে। মানুষ তার বিয়ের মাধ্যমে বৈধ্য ভাবে প্রজনন প্রক্রিয়া চলমান রাখে। আমরা সামাজিক জীব । সমাজে বসবাস করার সময় আমাদের বসবাস কৃত শান্তির খুবই দরকার। এখন যদি আপনি ভাল মনে করে কোন মেয়ের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করে শান্তি প্রীয় হতে না পারেন। আপনাদের সংসার করতে গিয়ে যদি দেখেন যে যার সহিত সংসার করতেছেন সে আপনার মতের বাহিরে তখন আপনি তাহাকে সাবধান হওয়ার কথা বলেন। আপনা প্রস্তাব যদি সে না মেনে নেয় সেই ক্ষেত্রে অন্য কোন সিদ্ধান্ত আপনি নিতে পারেন। 

কখনও যদি মনে হয় , আপনার জীবন সঙ্গি আপনাকে কোন ভাবেই সুখি করে রাখতে পারছেনা। অনেক চেষ্টার পরও সে সাভাবিক জীবনে ফিরছে না। তবে অবশ্যই আপনি যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।








সুতরাং আপনার জীবনকে সুন্দর করতে আপনাকে অবশ্যই জীবনের এই মহামূল্যবান পার্ট
কে অতি গুরুত্বের সহিত পরিচালনা করতে হবে।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url