ইসলামিক বিনোদন
ইসলামিক বিনোদন কি
ইসলামিক বিনোদন বলতে আপনাকে যা বুজানো হয়েছে তা হলো হালাল বিনোদন। ইসলামে আপনাকে যা হালালা, তাই শুধু রিকমেন্ড করে। সুতরাং ইসলাম আপনার বা আপনার পরিবারের জন্য যাহা হালাল এবং হালাল ভাবে আনন্দ করার জন্য যে বিনোদন রেখেছে তাই ইসলামিক বিনোদন। ইসলামিক বিনোদনে আপনি আপনার পরিবার অংশগ্রহন করতে পারেন। আপনি ইসলামিক নিয়ম মেনে সামাজিক ভাবেও উপভোগ করতে পারেন।
ধর্মীয় হালাল বিনোদন
হালাল বিনোদন হলো বৈধ্য উপায়ে কাহারও সহিত বিনোদন করা। আপনি যে ধর্মেই বিশ্বাসি হন না কেনো আপনার জন্য আপনার ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ একটি বিশেষ নিয়ম নির্ধারন করে দিয়েছে , যে নিয়ম মেনে আপনার জীবন চালাতে হবে। চালাতে গিয়ে যে নিয়ম বৈধ্য এবং গ্রহন যোগ্য সেই নিয়ম নীতিই হলো ধর্মীয় হালাল বিনোদন। এই জন্য আপনাকে সামান্য হলেও একটু ধর্মীয় জ্ঞান থাকতে হবে।এই ধর্মীয় জ্ঞান না থাকলে আপনি অবশ্যই বিপথে যেতে পারেন , করতে পারেন ধর্মীয় নিতির বাহিরের কোন কর্ম কান্ড , হতে পারেন আপনি চরম পাপী। পাপ এমনটা বিষয় যে বিষয়ে আপনার বিচার সৃষ্টিকর্তা কোন কোন দিন একবার করবেই। এই জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি নিয়মতান্ত্রিক বিধানে চলতে হবে।
ধর্মীয় হালাল বিনোদনে আপনার থাকতে হলে আপনাকে ধর্মীয় কিছু অনুষ্ঠান আছে সেই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উপভোগ করতে হবে। যেমনঃ ঈদ, বিয়ে । এইসব অনুষ্ঠানে আপনার চরম বিনোদনের সুযোগ রয়েছে, আপনি তাহা করতে পারেন। আপনি বিবাহিত হলে আপনার সহধর্মীনির সহিত আপনার বিনোদনের সুব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেকটি মানুষ তার সঙ্গীর নিকট থেকে যে পরিমান বিনোদন নেওয়া যায় বা নিতে পারে সেই মোতাবেক কোন মানুষকে আর অন্য কোথাও গিয়ে বিনোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই ।
এই সবের বাহিরের কোন সম্পর্ক আপনাকে সবসময় টানবে এবং মনের ভিতর একটি কৌতহল তৈরি হবে যে, আপনি অন্য কোন মেয়ের সহিত সম্পর্কে জড়াবেন। মনের ভিতর থেকে বলতে থাকবে এটা কিছুই না কিন্ত ধর্ম আপনাকে এইসব বিষয়গুলোতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। তাই বিনোদন আপনি দুই ভাবে করতে পারেন । একটি হলো হালালা বিনোদন, আর একটি হলো হারাম বিনোদন। হারাম বিনোদন করতে গিয়ে আপনার মুনষ্ত্বকে কখনও জলানজলি দিবেন না। সতর্ক থাকবেন বিষয়টি নিয়ে। এ বিষয়ে কোরআনেএবং হাদিসে নানা ধরনের দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে।
হালাল বিনোদনের সুফল
ইসলামের বিনোদন মানেই হালাল বিনোদন। সেই বিনোদনে আনন্দ থাকে , থাকে ভালবাসা। এই ভালোবাসার ভাগ সমাজের সবার সমান থাকে। ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল বিনোদনের বিকল্প নাই । হারাম বিনোদনে আপনি শুধুই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। সমাজে র্দূনাম হবে , পাবেন লাঞ্চনা।এহ কাল পরকাল দুই জীবনের জন্য আপনি হবেন আসামি।কবরের জগতে আপনার জন্য থাকবে নানা রকমের যন্ত্রনা। আর নিয়ম মেনে আপনি যদি ধর্মীয় রিতিনীতিতে বিনোদন নিয়ে নিতে পারেন তবে আপনার জন্য রয়েছে মৃত্যর পরের এক অনাবিল আনন্দের সাগর। সেখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মত বিনোদনের সুযোগ পাবেন।
হালাল বিনোদন বলতে আল্লাহ , আল্লাহর রাসুল যাহা সুনির্দিষ্ট ভাবে নিষেদ করেছেন তা বাদ দিয়ে সকল কিছুই হালাল। কিন্তু এই জামানায় কিছু মৌলভি কিছু আবেগি মুসলমানকে আবেগি হামলা করে তাদের মন মানসিকতাকে নষ্ট করে দেয়।তারা তাদের দলকে ভারী করার জন্য নানা ধরনের ওয়াজ করে একটি বলয় এর মধ্যে রাখার চেষ্ঠা করে।
সুতরাং হালাল বিনোদনে আপনাকে অবশ্যই একটু নজর দারী ঠিক রাখতে হবে। একসময় বিনোদনের জন্য নারীকেই একটি উপকরন মনে করা হয়েছিল । যাহা একে বারেই ভূল এবং বিভ্রান্তিকর।
বলা হয় গান বাজনা হারাম। কিন্তু দলিল ছাড়া কোন ভাবেই আমাদের এটাতে আবদ্ধ থাকা উচিৎ নয়।