বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করলে কি লাভ হতে পারে।

 বিয়ের আগের শারীরিক সম্পর্ক কি




বিয়ের পূর্বে শাররিক সম্পর্ক কি জানতে হলে আপনাকে জানতে   হবে যে, সম্পর্কটা আসলে কি । সম্পর্ক হলো একটি বন্ধন বা জড়ানো বাধন   । সেটা হতে পারে আপনার পরিবারের কারো সাথে বা পরিবারের বাহিরে কোন মানুষের সাথে। এই সম্পর্ক বা বন্ধন নানা ধরনের হতে পারে । সামাজিক বন্ধন বা পারিবারিক বন্ধন , হতে পারে বিবাহ বন্ধন, ভাইবোনের বন্ধন, বাবা মার সহিত সন্তানের বন্ধন। আবার সমাজে প্রতিবেশির সহিত বন্ধন। আত্মীয়তার বন্ধনে মানুষ সম্পর্কীত হয়। এক জায়গা হতে অন্য জায়গাতে সম্পর্কের তাগিদে গিয়ে বসবাস করে। এখন আপনার প্রশ্ন হলো এই সম্পর্কের সাথে শারিরিক সম্পর্ক জড়িত নেই। যে সম্পর্কের সহিত আপনার শারিরিক সম্পর্ক সেই টা হলো প্রেমের সম্পর্ক বা বিবাহ বন্ধন। এইটা একটি সামাজিক এবং ধর্মীয় রিতিনীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেখানে বৈধতা থাকে , থাকে স্বচ্ছতা। এই বন্ধনকে গড়তে সামাজিক ভাবে সবাই এক হয়ে গঠিত হয়। এটা আমরা সবাই জানি। তাই এ বিষয়ে আমরা  ব্যাখ্যা করব না। আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো বিবাহ বন্ধনের পূূর্বেই কাহারো সহিত সর্ম্পক। আর সেই টাই হলো বিয়ের আগের শারীরিক সম্পর্ক।এটি একটি অসামাজিক প্রথা । যেটা আমাদের সবার জন্য অকল্যানকর । তাই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।


বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ইসলাম যা বলে

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে মহান আল্লাহ তালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন.....

তোমাদের জন্যে হালাল সতী সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী সাধ্বি নারী যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে। তোমাদের পূর্বে যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে , কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্য কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়।  

সুরা মাইদা

অতএব আমাদের মধ্য অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ আমাদের জন্য সব কিছুই সঠিক এবং সুন্দর করে রেখেছে। 

বিবাহ না করে কারো সহিত সম্পর্ক করলে তাহা জেনার মধ্যে বিবেচিত হয়ে যাবে। এই সম্পর্কে আল্লাহ তালা বলেছেন যে যাহার এই সম্পর্কের বাহিবে কোন কিছু করবে তাদের জন্যে পরকালে বা বিচারের মাঠে কঠিন সাজার ব্যবস্থা করা হবে।




বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ইসলাম যে শাস্তি বা শান্তির কথা বলে।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে  ইসলাম যে শাস্তি কথা বলে তা হলো জাহান্‌নাম । আর জাহান্নামে একজন মানষের জন্য রয়েছে বিশাল শাস্থির ব্যবস্থা। যেখানে শুধু আজাব আর আাজাব। তারপর ও  কোন মানুষের যে কোন পাপ আল্লাহ চাইলে মাফ করে দিতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল। তাই মহান আল্লাহতালাই জানেন একমাত্র কাহাকে জাহান্নামে দিবেন আর কে জান্নাতে যাবেন। আল্লাহ শুধু মাত্র শেরেকের গুনা মাফ করবেন না। তাছারা যেকোন পাপ আল্লাহ মাফ করে দিতে পারেন। এই জন্য আপনাকে আল্লাহর রহমতের আশা করতে হবে। আর তার নিকট মাফ চেয়ে তওবা করতে হবে। আর কোন দিন এই সকল পাপের মধ্য  নিজেকে জরানো যাবে না।



শেষ কথা বলতে বিবাহ না করে কি করবেন।


শেষ কথায় এই টুকু আপনাকে বলব । দয়া করে  কেও এই ধরনের পাপের মধ্যে নিজেকে জড়াবেন না। যদি করে থাকেন , তবে আজই আপনি আল্লাহর দরবারে মাফ চেয়ে  ক্ষমার দরখাস্ত করেন , দেখবেন আল্লাহ আপনার সকল গুনা মাফ করে দিবেন। আপনি ভাল থাকবেন। কারন কোন অসামাজিক সম্পর্ক আপনাকে কোন দিনও সফল করে না। করতে পারে না।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url